বোকা মেয়ে
লিখেছেন লিখেছেন নান্দিনী ২২ জুন, ২০১৬, ০৭:৫৬:৫০ সন্ধ্যা
মেয়েটা স্বপ্ন দেখে,একদিন তারও ঘর হবে
একটা ছোট্ট স্বপ্নের ঘর,
একটা আলো ঝলমল মিষ্টি ঘর
সে ঘরে স্নিগ্ধ শুভ্রতায় বাবা থাকবে,মা থাকবে
ফাজিল হতচ্ছাড়া দেবর থাকবে,
ঝগড়াটে এক ননদ থাকবে
আর থাকবে দুষ্টু মিষ্টি বর..
মেয়েটা স্বপ্ন দেখে,তারও একদিন ঘর হবে
সেই ঘর আলো করে,একটা দুষ্ট রাজকন্যা আসবে
রাজকন্যাকে ঘিরে সবাই আবার স্বপ্ন বুনবে
সেই ঘরে অনেক অভাব থাকবে,কষ্ট থাকবে
তবু সব ছাপিয়ে স্বপ্নমাখা চাঁদ উকি দিবে
সকাল দুপুর সন্ধ্যা গড়াবে
স্বপ্নপুড়ির কাজে কর্মে
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই,
গল্পের ঝাপি খুলে বসবে সবাই,
হাসি-ঠাট্টা-আনন্দে থৈথৈ করবে চারপাশ
মেয়েটা স্বপ্ন দেখে,তারও একটা ঘর হবে,
সেও একদিন স্বপ্নপুড়ির রাণী হবে
মেয়েটার স্বপ্ন স্বপ্নই থাকে,
স্বপ্নরা আর ডানা মেলে না,
বাস্তবতা বড়ই কঠিন,
বোকা মেয়েটা তা বুঝে না
তাই তো সে আজও বসে
স্বপ্নের সিড়িতে,
কখন খুলবে স্বপ্নের দরজা
পা দিবে সে স্বপ্নের কুটিরে
---৭.৫৫
---২২/০৬/১৬
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে ছেলেদের হাহাকারটা ইদানিং আরো বেশি দেখছি কারণ বিয়েগুলো কেমন জানি ব্যবসার মত হয়ে গেছে। ছোটকালে বাচ্চা ছেলেগুলোকে মায়েরাই শুনায়, আমার রাজপুত্রটার জন্য একটা লাল টুকটুকে বউ আনব। এটাই ছেলেদের লক্ষ্য হয়ে যায়। বাবা শেখায়, অনেক পড়াশুনা করে ডাক্তার,ইঙ্জিনিয়ার,ব্যাংকার হতে হবে নাহলে টাকা পয়সা কামাতে পারবেনা আর টাকা পয়সা না কামাতে পারলে লাল টুকটুক কেন, কোন ফকিন্নিউ তোমাকে বিয়ে করবেনা। বেচারা ছেলেদের জীবনের সব সংগ্রামই থাকে লাল টুকটুক বউ প্রাপ্তির জন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার হয়ে অনেক টাকা পয়সার মালিক হওয়া। আমার ইন্টার্ণ মেয়ে কলিগ আর সহপাঠী মেয়ের বিয়ের কথা আমার মনে আছে। দুটোই প্রেমের বিয়ে। জাস্ট ব্রাইডাল মেকাপেই একজনের ৩৫০০০ টাকা অন্যজনের ৩২০০০ খরচ হয়েছে। তাছাড়া গায়ে হলুদ, বৌভাত এসবের জন্য আলাদা আলাদা ড্রেস আলাদা আলাদা মেকাপ এর খরচ। কয়েক লাখ টাকার দেনমোহর (কম হলে আত্নীয়স্বজন, বান্ধবীরা কি বলবে?) এরপর আবার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের খরচ আছে, আলাদা ফটোগ্রাফার, ভিডিওম্যান অতঃপর বউ-জামাই যখন স্বপ্নীল এক স্টেজে একসাথে ফটোসেশনে বসে তখন তাদেরকে সত্যিই কল্পনার রাজপুত্র রাজকণ্যাই মনে হয়। অবশ্যই এই খরচগুলো যায় জামাইয়ের পকেট থেকে। আজকাল লোকদেখানোর ব্যাপার আছে নাহলে মেয়ের সন্মান নাকি থাকেনা, বান্ধবীর বিয়েতে হয়েছে তার বেলায় আরো বেশি চাই। এরপর আবার ঢাকঢোল পিটিয়ে হানিমুনের ব্যাপার আছে সেখানেও খরচ। এজন্যই প্রেমের বিয়ে হলেও ছেলেকে বিরাট যোগ্যতা আর টাকা পয়সার মালিক হতে হবে নাহলে ছেলের মুখে বিয়ের কথা আসা যাবেনা। সিনামায় তাও একটা হ্যাপি এন্ডিং থাকে কিন্তু আজকাল বিয়ের বছর না পার হতেই আবার ডিভোর্স, পরকীয়া, স্বামী খুন, স্ত্রী খুন!!
আমার খালাতো বোনটার কথা মনে আছে। গায়ের রং শ্যামলা বলে মার্টাস পাস হবার পরেও, ধার্মিক, গুণী হবার পরেও কত নাক শিটকানি। অবাক হই এসব নাক শিটকানির ব্যাপারে মহিলারাই অগ্রগামী। পুরুষরা এত কিছু নিয়ে মাথা ঘামাতে যাননা। কিন্তু মহিলারা পাত্রীর গায়ের রং, উচ্চতা, চেহারা, বাপের টাকা পয়সা-জায়গা,জমি ইত্যাদি নিয়ে কত রকমের হিসাব করেন! সামান্য একটু খুত পেলে মুখের উপর কথা শোনাতেও ছাড়েননা। একটা মেয়ে এসব নিয়ে কি পরিমাণ মানুষিক যন্ত্রনায় ভোগে এটা বোঝার মত মানুষিক মমত্ববোধটাও এদের নেই। আসলে নষ্ট সমাজ। এজন্যই বিয়ে জিনিসটার প্রতিই আমার উল্টা দিন দিন বিদ্বেষ বাড়ছে।
আর আপু,একটা কালো বা শ্যামলা মেয়ের যদি টাকা ওয়ালা বাপ থাকেন,তাহলে বিয়ের বাজারে খুব একটা সমস্যা হয়না । যদিও শশুর বাড়িতে হয়তো একটা সময় এটা নিয়ে অনেক কিছু শুনতে হয় । আর আজকাল বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ে ইসলামিক কি না,চারিত্রিক কি না এসবের চাইতে সৌন্দর্য,টাকা,সামাজিক মর্যাদা ই প্রাধান্য পাচ্ছে (ব্যতিক্রমদের কথা আলাদা)
জী আপু তার জন্যই তো আমরা ধ্বংস হচ্ছি কারণ রাসূল সল্লাললাহূ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, জাহিলিয়াতের মানুষেরা নারীর সুন্দর চেহারা, তার ধন-সম্পদ, তার বংশমর্যাদা (সামাজিক প্রভাব-প্রতিপত্তি)এসব দেখেই বিয়ে করে এবং ধর্মকে প্রাধাব্য দেয় সবার নীচে। হে মুমিনগণ! তোমরা নারীর সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিবেনা কারণ তা ক্ষণস্হায়ী। তোমরা সম্পদশালী নারীকে বিয়ের জন্য প্রাধান্য দিবেনা কারণ তা চিরস্হায়ী হয়না, যে কোন দিন তা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। তাই তোমরা বিয়ে কর দীনদার ও পরহেজগার নারীদেরকে যদিও সে সুন্দরী না হয়! কেননা দীনদার নারীই উৎকৃষ্ট। এরপরেও যদি তোমরা জাহিলিয়াতের রীতি নীতি অনুসরণ কর, তবে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে।
যখন তোমাদের কাছে এমন কোন ছেলে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার দীনদারী এবং সচ্চরিত্রতার ব্যাপারে তোমরা সন্তুষ্ট, তখন ঐ ছেলেরা সাথে তোমাদের মেয়েদের বিয়ে দাও। যদি তোমরা তাদের প্রত্যাক্ষ্যান কর ( এবং সম্পদশালী,প্রভাবশালী ছেলেদের প্রাধান্য দাও) তবে পৃথিবীতে ফিৎনা ও বড় ধরণের ফাসাদ ছড়িয়ে পরবে তোমরা ধ্বংস হবে।
এসব পড়ি আর একা একা হাসি।
বিয়ের পর ধার্মিক মেয়েও তার বোন-বান্ধবী-কলিগদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে স্বামীকে দৌড়ের উপর রাখে - ব্যতিক্রম থাকতে পারে , তবে এটাই টিপিক্যাল বাস্তবতা ।
আর , যে যায় লন্কায় সেই হয় রাবণ । আজ যে মেয়ে তার ভাবীর উপর নাখোশ তার ভাই ও মাকে পিষে ফেলতেছে বলে । দুই দিন পর বিয়ে হলে তার ননদও তার প্রতি একই কারণে নাখোশ হবে ।
এই সিলসিলা চলতেই থাকবে .....
মহিলাদের এই Chaos এ পুরুষরাই সাফারার হয় দোষী না হয়েও।
০ এসব আপনার দেখতে পাবারও কথা না । এসব দেখতে পায় (সাফার করে) আপনার বাবা , খালু , চাচা , ফুফা , ভাই , দুলা ভাই এরা । আপনার সামনে তো এরা আপনার স্বজাতিদের মত কালার দিয়ে বলবে না !
সামাজিক মান মর্যাদার ভয়ে বেশীর ভাগই আপনাদের মত গলা চাউর করে না, মুখ বুঝে সহ্য করে যায় বিধায় মনে করেন যে এসব কিছু আমাদের এখানে হয় না / দেখি না ।
এসব সব সমাজে , সব ফ্যামিলিতেই হয় । ঘরে সাফারার হয় ছেলেরা আর বাইরে হয় মেয়েরা । প্রত্যেককেই অপরের অবস্থাকে মূল্যায়ন করতে হবে - নচেৎ সাফারিংস কমবে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন